যেহেতু করোনার উপসর্গগুলো সাধারণ ফ্লুর মতোই, এ কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, ক্লান্তি, বুকে ব্যথা, মাথাব্যথার মতো কিছু সাধারণ ও মৃদু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
আর এতে ঘটছে বিপত্তি। শারীরিক এই উপসর্গগুলোকে অনেকেই সাধারণ ঠান্ডা লাগা ভাবা ভেবে এড়িয়ে যাচ্ছেন। যদিও চিকিৎসকদের মতে, এখন ঠান্ডা লাগার মতো যে কোনো উপসর্গ এড়িয়ে যাওয়া উচিত হবে না।
এমনকি গলাব্যথার মতো সমস্যাও নয়। কোভিডে গলাব্যথা অন্যতম উপসর্গ। আর ঠান্ডা লেগেও হতে পারে গলাব্যথা। তবে কোভিডের ক্ষেত্রে গলা ব্যথার ধরনটা সাধারণের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সাধারণ গলাব্যথা ও কোভিডের মধ্যকার পার্থক্য-
>> কোভিডের কারণে গলাব্যথা হলে গলার কাছে কিছু আটকে আছে বলে মনে হবে। খাবার গিলতে কষ্ট হবে। সব সময় গলা শুকিয়ে আসার অনুভূতি হবে। অন্যদিকে ঠান্ডা লেগে গলাব্যথা হলে শুধু গলায় নয়, অনেক সময় মাড়িতেও ব্যথা হয়।
>> করোনা সংক্রমণের উপসর্গ হিসেবে যে গলাব্যথা হয় তা সাধারণত পাঁচ দিনের বেশি থাকে না। পাঁচ দিনের বেশি গলা ব্যথা থাকলে তা অন্য কোনো কারণে হয়েছে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
অন্যদিকে ঠান্ডা লাগার কারণে গলাব্যথা একই রকম থাকে না। কখনো খুব বেশি হয় আবার মাঝেমধ্যে কম থাকে।
>> গরম পানীয় বা খাবার খেলেও কোভিড সংক্রমণের গলাব্যথা অনেক সময় কমতে চায় না। অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ এ ধরনের গলাব্যথাকে জব্দ করতে পারে।
ঋতু পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডা লেগে গলাব্যথা হলে গরম পানির গার্গেল বা গরম কোনো পানীয় খেলে অনেক সময় ব্যথা কমে যায়।