প্রবাস
কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু

কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় আসিফ সৈয়দ (২৭) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে কানাডার অটোয়া হাইওয়েতে নিয়ন্ত্রণ আসিফের গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
দুর্ঘটনার শিকার হওয়া গাড়িটির চালক ছিলেন আসিফের চাচাতো ভাই নওশাদ সৈয়দ। গুরুতর অবস্থায় তাকে অটোয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সম্প্রতি লেখাপড়া শেষ করে আসিফ সৈয়দ চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তার বাবার নাম আসলাম সৈয়দ। নিহতের বাড়ি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাদুরতলায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

প্রবাস
সৌদি আরবে নিহত ২২ ওমরাহযাত্রীর আটজন বাংলাদেশি

সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২ ওমরাহযাত্রীর মধ্যে আটজন বাংলাদেশি। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৮ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে। তবে, নিহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
এর আগে সোমবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওমরাহযাত্রীদের বহনকারী ওই বাস ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকার একটি সেতুর সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে বাসটি উলটে যায় ও একপর্যায়ে সেটিতে আগুন ধরে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বাসের আরোহীরা ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় যাচ্ছিলেন। বাসের ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর ওপর উল্টে গিয়ে আগুন ধরে যায়।
দুর্ঘটনার বিষয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশের কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. আরিফুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, বাসে মোট ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় মোট ২২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে মদিনার কাছাকাছি এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশ স্ট্রিটের নামফলক উম্মোচন

মহান স্বাধীনতা দিবসে নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। স্থানীয় সময় রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটকে ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামে ফলক উম্মোচন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের কাছেতো অবশ্যই, এমনকি যারা দেশ থেকে বেড়াতে নিউইয়র্কে যান তাদের কাছেও জ্যাকসন হাইটস খুব পরিচিত জায়গা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রাণের আড্ডার জায়গা এই এলাকা। আর জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিট ও ৩৭ অ্যাভিনিউ হচ্ছে এর মূল কেন্দ্রবিন্দু। এই স্ট্রিটকেই ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামকরণ করা হলো।
আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিরা যখন ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামফলক উন্মোচন করেন তখন পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে ‘জয়বাংলা’ স্লোগানে।
বাংলাদেশ স্ট্রিটের নামফলক উম্মোচন করেন জ্যাকসন হাইটস ও এলমহার্স্ট এলাকার নবনির্বাচিত সিটি কাউন্সিল মেম্বার শেখর কৃষ্ণান। জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জেবিবিএ)এর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ স্ট্রিটের নামফলক উম্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সদস্য গ্রেস মেং, অ্যাসেম্বলি সদস্য ক্যাটালিনা ক্রুজ, জেবিবিএ’র নেতা গিয়াস আহমেদ, হারুন ভুঁইয়া, ফাহাদ সোলায়মান, তারেক হাসান খানসহ শত শত বাংলাদেশি।
নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সিটি কাউন্সিলের সভায় ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্যোগ নিলে পরে ৪৭-০ ভোটে তা পাস হয়। সেই থেকে জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটের নামকরণ করা হয় ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’। বিলটির সিদ্ধান্ত নম্বর হলো- আইএনটি ৮৯৭।
গত বছর জুলাই মাসে উক্ত জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জেবিবিএ)এর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা। জেবিবিএ’র বর্তমান সভাপতি হারুন ভুঁইয়া ও সাধারন সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান নিউ ইয়র্ক সিটি’র কর্মকর্তাদের কাছে প্রস্তাব পাঠান। তাদের দেওয়া তাগিদেই প্রস্তাবটি পাস করানোর চেষ্টা চালান সংশ্লিষ্ট কাউন্সিল সদস্যরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
আমিরাতে লটারি জিতে কোটিপতি হলেন বাংলাদেশি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক মাহজুজ লটারিতে প্রায় ৩ কোটি টাকা জিতেছেন এক প্রবাসী বাংলাদেশি। রোববার (২৬ মার্চ) দেশটির সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে ওই বাংলাদেশির কোটি টাকার লটারি জয়ের খবর দেওয়া হয়েছে।
আমিরাতে হঠাৎ ভাগ্যের চাকা বদলে যাওয়া ওই বাংলাদেশির নাম মোহাম্মদ। তার র্যাফেল আইডি নম্বর ৩২২৮৪৪৫৬।
খালিজ টাইমস বলছে, মাহজুজ সাপ্তাহিক লটারির ১২১তম ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিজয়ী হিসেবে বাংলাদেশের মোহাম্মদ ১০ লাখ দিরহাম পেয়েছেন। এছাড়া এ সপ্তাহেই প্রথমবারের মতো লটারিতে রাখা হয় ১০০ গ্রামের সোনার কয়েন। আর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই সোনার কয়েন জিতে নিয়েছেন ম্যারি গ্রেস নামের এক ব্যক্তি।
মাহজুজ লটারির নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে নিশ্চিতভাবে একজন ব্যক্তি কোটিপতি হন। এবার সেই ভাগ্যবান কোটিপতি হিসেবে নাম ওঠে বাংলাদেশি মোহাম্মদের। গত সপ্তাহে এক ভারতীয় এই পুরস্কার জিতেছিলেন।
মোহাম্মদসহ এ সপ্তাহে সব মিলিয়ে পুরস্কার জিতেছেন ১ হাজার ৬৩ জন অংশগ্রহণকারী। সবাই মিলে বাড়িতে নিয়ে গেছেন ১৪ লাখ ৬৩ হাজার দিরহাম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
কানাডায় ডিরেক্টরস ক্লাব অ্যাওয়ার্ড পেলেন মাহবুব ওসমানী

রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় অবদানের জন্য কানাডায় ডিরেক্টরস ক্লাব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মাহবুব ওসমানী। ১০ মার্চ (শুক্রবার) টরন্টোর বে-ভিউ ও শেপারডে অবস্থিত দ্য ভিলেজ লফটে আয়োজিত রাইট এট হোম রিয়েলটি ব্রোকারেজের ডন মিলস শাখার কর্তাব্যক্তিরা আনুষ্ঠানিক ভাবে তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন।
এ সময় মাহবুব ওসমানীকে অভিনন্দন জানান ব্রোকারেজের প্রেসিডেন্ট জন লুসিঙ্ক, ব্রোকার অব রেকর্ড ও জেনারেল ম্যানেজার জুলি কি, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মার্ক সালেঙ্গা এবং এরিয়া ম্যানেজার হ্যারি নাস্তামাগোস।
ওসমানী বলেন, ‘আজকের দিনে বিশেষভাবে আমি আমার সব ক্রেতা, বিক্রেতা, শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার প্রতি তাদের অগাধ বিশ্বাস এবং সমর্থন ছাড়া এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করা সম্ভব ছিল না’।
খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে কানাডার বাংলাদেশিদের মধ্যে রিয়েলটর হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন মাহবুব ওসমানী। বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা সামাজিক, সাংগঠনিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অত্যন্ত সক্রিয় তিনি।
ওসমানী টরন্টো থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় রিয়েল এস্টেট নিয়ে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ লেখেন। এছাড়া টরন্টোর প্রথম ২৪ ঘণ্টার টিভি চ্যানেল এনআরবি টিভিতে ‘প্রপার্টি গাই’ নামে নিয়মিত একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এছাড়াও ফেইসবুক লাইভে সংবাদভিত্তিক পর্যালোচনামূলক অনুষ্ঠান ‘গণমাধ্যমে কানাডা’র উপস্থাপক।
সাত বছর আগে অভিবাসী হয়ে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছিলেন ওসমানী। এক বছরের মধ্যে টরন্টো ফিল্ম স্কুল থেকে ‘গ্রাফিক ডিজাইন এন্ড ইন্টারেক্টিভ মিডিয়া’ নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন।
অভিবাসী জীবনে এই পেশায় আসা সম্পর্কে ওসমানী বলেন, নিজের প্রথম বাড়িটি কেনার পর রিয়েল এস্টেট পেশায় আগ্রহী হই। যাতে অভিবাসীদের জীবন কিছুটা স্বাচ্ছন্দ এবং সুন্দর করে তাদের বাসাবাড়ির স্বপ্নাশা পূরণ করতে পারি; সেজন্যই এই পেশায় আসা।
উল্লেখ্য, ওসমানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় অনার্স ও মাস্টার্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন এবং গোল্ড মেডেল অর্জন করেন। পরে তিনি ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের মিডিয়া স্টাডিজ এন্ড জার্নালিজম বিভাগে শিক্ষকতা করতেন। পাশাপাশি তিনি চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরে সংবাদ ও টক শো উপস্থাপনা করতেন। তিনি প্রথম আলোর সহোদর প্রতিষ্ঠান এবিসি রেডিও এবং সময় টিভিতেও সাংবাদিকতা করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
বার্লিনে বিশ্বের বৃহত্তম পর্যটন মেলায় বাংলাদেশ

জার্মানির বার্লিনে বিশ্বের বৃহত্তম পর্যটন মেলা ‘আইটিবি বার্লিন ২০২৩’ এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এবারের মেলায় ১৬৯টি দেশের পাঁচ হাজার ৫০০ প্রদর্শক তাদের পর্যটন সংক্রান্ত পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডসহ বাংলাদেশ থেকে ১০টি কোম্পানি মেলায় অংশগ্রহণ করে।
জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সমন্বয়ে এ মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল রাইজিং বাংলাদেশ, ট্যুর প্ল্যানার্স লিমিটেড, আইরুমসবিডি, দেশঘুড়ি ডটকম, সানমুন ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল, বেয়ন্ড অ্যাডভেঞ্চার অ্যান্ড ট্যুরিজম ডিএমসি, এ-ওয়ান ট্যুরিজম, বগুড়া এয়ার ট্রাভেলস, পাবনা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস ও কসমস হলিডে।
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গরিবাশভিলি। মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক এ পর্যটন মেলায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত ও বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
মেলার সমন্বয়কারী জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (কমার্শিয়াল) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ খাত থেকে লাভবান হওয়ার জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এটিকে প্রচার করতে হবে। আইটিবি বার্লিন একটি নিখুঁত প্লাটফর্ম, যেখানে আমরা এ প্রচার নিশ্চিত করতে পেরেছি।
তিনি জানান, আইটিবি বার্লিনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সাংস্কৃতিক, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পর্যটন অবকাঠামোকে তুলে ধরে বিশ্ব পর্যটন বাজারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের পথ প্রশস্ত করেছে।