পাওয়েলের তাণ্ডবে বাংলাদেশের সামনে বড় লক্ষ্য

পাওয়েলের তাণ্ডবে বাংলাদেশের সামনে বড় লক্ষ্য
২৮ বলে হার না মানা ৬১ রান। ছক্কা হাঁকালেন ৬টি। এক রভম্যান পাওয়েলই বাংলাদেশকে কোণঠাসা করে দিলেন। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ পেয়ে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অর্থাৎ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৯৪ রান।

ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে টসভাগ্যটা সহায় ছিল না বাংলাদেশের। প্রথমে ফিল্ডিং পায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করে উড়ন্ত সূচনা।

দলে ফেরা তাসকিন আহমেদের প্রথম ওভারে ১৪ রান তুলে নেয় ক্যারিবীয়রা। কাইল মায়ার্স হাঁকান একটি চার আর ছক্কা। দ্বিতীয় ওভারেও চড়াও হয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। শেখ মেহেদি হাসানের প্রথম বলেই মারেন চার।

তবে এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান মেহেদি। পরের তিন বলে এক রানও দেননি। পঞ্চম বলে তো অফস্পিন ভেল্কিতে বোল্ডই করে দেন ভয়ংকর মায়ার্সকে। হাঁটু গেড়ে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে মিডল স্টাম্প হারান ৯ বলে ১৭ করা মায়ার্স।

এক ওভার পর আরও এক আঘাত ক্যারিবীয় ইনিংসে। এবার সাকিব আল হাসানকে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন শামারাহ ব্রুকস (০)। শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচটি তালুবন্দী করতে একদমই কষ্ট হয়নি মাহমুদউল্লাহর। ২৬ রানে ২ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

তারপরও পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৪৫ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আস্তে আস্তে হাত খোলেন নিকোলাস পুরান আর ব্রেন্ডন কিং। তৃতীয় উইকেটে এই যুগল ক্যারিবীয়দের বড় পুঁজির ভিত গড়ে দেন।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে ব্রেন্ডন কিং আর নিকোলাস পুরানের ঝড়ো জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা।

কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। কিং-পুরানের জুটি ভাঙতে রীতিমত গলদঘর্ম হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। অবশেষে বল হাতে নিয়েই ১৩তম ওভারে ৫৫ বলে ৭৪ রানের এই জুটিটি ভাঙেন মোসাদ্দেক হোসেন।

মোসাদ্দেকের ঘূর্ণিতে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে প্যাডে লেগে যায় পুরানের। আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন আবেদনে। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। কাজ হয়নি। ৩০ বলে ৩৪ রান করে তাকে ফিরতে হয় সাজঘরে।

৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন কিং। এরপর ঝড় তোলেন রভম্যান পাওয়েল। ১৬তম ওভারে সাকিবকে তিনটি ছক্কা, এক চারে ৫ বলেই ২৩ রান তুলে নেন হার্ডহিটিং এই ব্যাটার।

পরের ওভারে তাসকিনকেও দুই ছক্কা আর এক বাউন্ডারি হাঁকান ভয়ংকর পাওয়েল। ওভারে আসে ২১ রান। টানা দুই ওভারে ৪৪ রান নিয়ে বড় স্কোরের পথে এগিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা।

শরিফুল ইসলাম ১৮তম ওভারের প্রথম বলে হাফসেঞ্চুরিয়ান ব্রেন্ডন কিংকে (৪৩ বলে ৫৭) বাউন্ডারিতে সাকিবের ক্যাচ বানান। পরের বলেই ২০ বলে ফিফটি পূরণ করেন পাওয়েল। ওই ওভারে মাত্র ৩ রান দেন শরিফুল।

তবে পাওয়েলের তাণ্ডব চলেছে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজ দেন ১০। শেষ ওভারে শরিফুলকেও দুটি ছক্কা হাঁকান পাওয়েল।

শরিফুল ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন ৪০ রান। খরুচে ছিলেন বাকিরাও। সাকিব ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩৭ আর তাসকিন ৩ ওভারেই ৪৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

এছাড়া শেখ মেহেদি হাসান ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। মোসাদ্দেক হোসেন ১ ওভার করে একটি মেইডেনসহ ১ উইকেট নিলেও তাকে আর বোলিংয়ে আনেননি মাহমুদউল্লাহ।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়