আরও ২৮ বিনিয়োগকারীর অমীমাংসিত লভ্যাংশের দাবি নিষ্পত্তির অনুমোদন

আরও ২৮ বিনিয়োগকারীর অমীমাংসিত লভ্যাংশের দাবি নিষ্পত্তির অনুমোদন
আরও ২৮ জন বিনিয়োগকারীর অমীমাংসিত নগদ লভ্যাংশের দাবি নিষ্পত্তির অনুমোদন দিয়েছে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ)।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকেলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত সিএমএসএফের ২৩ তম বোর্ড সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মতামত এবং পুনঃনিরীক্ষণের জন্য গাইডলাইনটি প্রেরণ করা হয়েছে। সিএমএসএফ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কমিশনের অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে অমীমাংসিত স্টক লভ্যাংশের দাবী নিষ্পত্তি শুরু করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব ও সিএমএসএফের চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমানসহ বোর্ড অব গভর্নরের সদস্যবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ হোটেল পূর্বাণীতে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নগদ লভ্যাংশের দাবি নিষ্পত্তি শুরু করে সিএমএসএফ। এই ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত ১১৩ জন বিনিয়োগকারীর অমিমাংসিত নগদ লভ্যাংশের দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

বিধিমালা অনুসারে, সিএমএসএফ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ইস্যুকারীর কাছ থেকে অদাবীকৃত এবং অবন্টিত নগদ বা স্টক লভ্যাংশ, অফেরত পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ এবং অ-বরাদ্দকৃত রাইট শেয়ার স্থানান্তর করার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের পক্ষে অভিভাবক হিসাবে কাজ করে। তহবিলে জমা করা নগদ বা স্টক যে কোনো সময়ে শেয়ারহোল্ডার বা বিনিয়োগকারীদের দ্বারা যথাযথ দাবির উপর ভিত্তি করে পরিশোধ বা নিষ্পত্তি করা হবে। সিএমএসএফ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়, অন্যান্য সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা, বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের ঋণ প্রদান, তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ধার দেওয়া এবং ধার নেওয়া এবং বিনিয়োগকারীদের দাবির নিষ্পত্তির মাধ্যমে বাজারে তারল্য নিশ্চিত করে এবং পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। এই ধারাবাহিকতায় পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করার লক্ষে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ- এর মাধ্যমে সিএমএসএফ ২০০ কোটি টাকা পুঁজিবাজার বিনিয়োগ করে।

সিএমএসএফ বিধিমালা অনুযায়ী, সিএমএসএফ ফান্ডে টাকা স্থানান্তর হওয়ার পর যদি কোন বিনিয়োগকারী তার নগদ লভ্যাংশ দাবি করে, তাহলে এরুপ দাবি গ্রহণের পনেরো দিনের মধ্যে ইস্যুয়ার কোম্পানি দাবির সত্যতা যাচাই করে তা সিএমএসএফ কে প্রেরন করবে। অতঃপর সিএমএসএফ পুনরায় যাচাই বাছাই করে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে দাবিকৃত অর্থ বিনিয়োগকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পাঠিয়ে দেয়া হয়। স্টক লভ্যাংশ দাবীর ক্ষেত্রে সিএমএসএফ বিও অ্যাকাউন্ট থেকে বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্টে দাবিকৃত শেয়ার পাঠিয়ে দেয়া হয়। সিএমএসএফ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা এবং একটি দক্ষ পুঁজিবাজার গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত