সরকার সারাদেশে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন করছে: প্রধানমন্ত্রী

সরকার সারাদেশে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন করছে: প্রধানমন্ত্রী
সরকার সারাদেশে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন করছে। রেল যোগাযোগ পুনরুজ্জীবিত ও নতুন নতুন রেলপথ স্থাপন এবং সেতু নির্মাণের পাশাপাশি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীগুলো খনন করছি। কারণ উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৭ জুন) সকালে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিকপ্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুদান গ্রহণ করেন।

সমগ্র বাংলাদেশেই তার সরকার ব্রিজ এবং উন্নত সড়কব্যবস্থা গড়ে তুলে যোগাযোগের একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসবের পাশাপাশি নদীগুলো ড্রেজিং করে নৌপথও আমরা সচল করেছি। আমাদের আগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায়ই বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা সেটা চালুর পাশাপাশি নতুন নতুন রেললাইনও করে দিচ্ছি। যার ফলে দেশের যোগাযোগব্যবস্থাও বাড়ছে।

তিনি বলেন, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন এবং শিল্পায়নের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যকে আমরা আরও গতিশীল করার জন্য বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সাফল্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশেরই এক ব্যক্তির প্ররোচণায় বিশ্ব ব্যাংক যখন পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়, পাশাপাশি অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগিরাও সরে দাঁড়ায়, তখন আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবো। তখন দেশের জনগণের পাশাপাশি আপনারাও অনেকে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে সবধরনের সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে জন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

দেশের জনগণই তার ‘সবচেয়ে বড় শক্তি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের সাহস এবং সহযোগিতা এবং তারা পাশে থাকাতে আমরা আমাদের নিজস্ব টাকায় এ পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল অঞ্চল যেটি দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল সেখানে এখন শিল্পায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের আর্থিক উন্নতি হবে। সেখানেও আপনাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত করার একটি ক্ষেত্র তৈরি হবে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে এবং এই অঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়ে যাবে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু