জানা যায়, বন্যার পর এ পর্যন্ত সিলেট জেলায় ২ হাজার ১৮৯ জন, সুনামগঞ্জ জেলায় ৩৮১ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ৮০৪ জন ও মৌলভীবাজার জেলায় ৫৬১ জন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল ৮টার আগের ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৭৩ জনই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ৪৭ জন, সুনামগঞ্জ জেলায় ১১৩ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ৭২ জন ও মৌলভীবাজার জেলায় ৪১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ জন।
এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৩ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ২১ জন ও মৌলভীবাজার জেলায় ২৬ জন চর্মরোগে আক্রান্ত হন। চোখের প্রদাহ হয়েছে ১০ জনের। তাদের মধ্যে সিলেট জেলার ২ জন, হবিগঞ্জ জেলার ৩ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ৫ জন রয়েছেন। অন্যান্য রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ২১ জন, হবিগঞ্জ জেলার ৭০ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ৬ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য সিলেট বিভাগের বিভাগীয় সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. নুরে আলম শামীম গণমাধ্যমে বলেন, বন্যার পানি কমার সাথে সাথে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ৪৩০টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। আক্রান্ত রোগীদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ আমাদের কাছে আছে।