সেতু বিভাগের বরাত দিয়ে, রবিবার (২৬ জুন) রাতে তথ্য অধিদপ্তর থেকে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।
রবিবার ভোর পৌণে ৬টার দিকে সেতু কর্তৃপক্ষ যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেয়। তখন থেকে সেতুতে সবচেয়ে বেশি পার হতে দেখা গেছে মোটরসাইকেল। সেতু টোল প্লাজা থেকে পাওয়া রবিবারের প্রথম আট ঘণ্টার তথ্যে দেখা গেছে, সেতু দিয়ে যেসব যানবাহন পারাপার হয়েছে তারমধ্যে ৬১ শতাংশই মোটরসাইকেল।
রবিবার দিনভর মোটরসাইকেলই বেশি পারাপার হয়েছে। সন্ধ্যার পর সেতুর দুই পারে টোলপ্লাজায় শত শত মোটরসাইকেলের ভিড় দেখা গেছে।
এদিকে মোটরসাইকেলে সেতু পার হওয়ার সময় অধিকাংশ বাইকআরোহী সেতুর মধ্যবর্তী বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলা, ফটোসেশন করা, সেতুর মাঝখানে দলবেঁধে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। এমনকি কেউ কেউ সেতুর নাটবল্টু খুলে টিকটক করেছে, কিংবা ভিডিও করে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছে।
এদিকে রাত আটটার দিকে পদ্মা সেতুর জাজরিা থেকে মাওয়া প্রান্তের দিকে ফেরার পথে দুই মোটর সাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকার পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।