হতাশার এক সেশন টাইগারদের, লিড নিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

হতাশার এক সেশন টাইগারদের, লিড নিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সকালের সেশনে শেষ সময়ে এসে দারুণ চমক দেখিয়েছিলেন টাইগার বোলাররা। ১০০ রানের উদ্বোধনী জুটি তো ভেঙেছেই, এরপর ১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু প্রথম সেশনে সফরকারীদের হাসি দ্বিতীয় সেশনে মিলিয়ে দিলেন কাইল মায়ার্স আর জার্মেই ব্ল্যাকউড। ক্যারিবীয় এই যুগল গড়লেন ৩৩ ওভারে ১১৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।

যে জুটিতে ভর করে ইতোমধ্যে লিডও নিয়ে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেন্ট লুসিয়া টেস্টে বাংলাদেশের ২৩৪ রানের জবাবে ৪ উইকেটে ২৪৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতিতে গেছে স্বাগতিকরা।

সেট দুই ব্যাটারই ক্রিজে রয়ে গেছেন। মায়ার্স ৬০ আর ব্ল্যাকউড ৪০ রানে আছেন অপরাজিত। ৬ উইকেট হাতে রেখে ক্যারিবীয়দের লিড এখন ১৪ রানের।

এর আগে বিনা উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম সেশনে ৪ উইকেটে তুলেছিল ১৩৭ রান। প্রথম ব্রেক থ্রুটা এনে দিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম।

দ্বিতীয় ব্রেক থ্রু পেতে খুব বেশি সময় লাগেনি বাংলাদেশের। ১৩১ রানের মাথায় ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটায় টাইগাররা। এবার উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

এই ১৩১ রানের মাথায় বসিয়ে রেখে স্বাগতিকদের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন পেসার খালেদ আহমেদ। এরপর আর এক রান যোগ হতে খালেদের ঝুলিতে আরও ১ উইকেট। ১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা।

দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেন দুই ক্যারিবীয় ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট এবং জন ক্যাম্পবেল। দু’জন মিলে ১০০ রানের জুটি গড়ে ফেলেন।

এরপরই স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ের ওপর প্রথম আঘাতটা হানেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম। ২৬তম ওভারে তার শেষ বলটি
ছিল শট পিচ করা। সঙ্গে এক্সট্রা বাউন্স হয়েছিল তাতে।

ক্যাম্পবেল চেষ্টা করেছিলেন পুল করতে। কিন্তু গতি আর এক্সট্রা বাউন্সের কাছে কুলিয়ে উঠতে পারেননি। বল গ্লাভসে লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে। ৭৯ বল খেলে ৪৫ রান করে আউট হন ক্যারিবীয় ওপেনার।

এরপর মেহেদি হাসান মিরাজের আর্ম বলটাকে ফ্রন্ট ফুটে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন ব্র্যাথওয়েট। কিন্তু বলটাকে ঠিকমত পড়তে পারেননি। বলটা হালকা বাঁক খেয়ে গিয়ে সোজা আঘাত হানে তার স্ট্যাম্পে।

আউট হওয়ার আগে অবশ্য হাফসেঞ্চুরি করেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। ১০৭ বলে ৫১ রানে থাকতেই মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলেন ব্র্যাথওয়েট।

এরপর এক ওভারে জোড়া চমক খালেদ আহমেদের। ৩৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি ছিল অফ স্ট্যাম্পের ওপর শট লেন্থের ডেলিভারির। স্টিয়ার করতে চেয়েছিলেন রেমন রেইফার। কিন্তু বল ভেতরের কানায় লেগে গিয়ে আঘাত হানে সোজা স্ট্যাম্পে। ২২ রান করে আউট হলেন রেইফার।

একই ওভারের শেষ বলে বোল্ড হন এনক্রুমাহ বোনারও। কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। খালেদের গতিময় বলটি পা দিয়েও ঠেকাতে পারেননি বোনার। ১৩২ রানে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চতুর্থ উইকেট।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়