সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় শনিবার সকালে সুধী-সমাবেশে যোগ দিয়েছেন মন্ত্রী, সচিব, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষেরা।
সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। টোল দিয়ে সেতু পার হয়ে সেতুর ফলক উন্মোচন করলেন সরকারপ্রধান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকালে লুঙ্গি পরে হুইলচেয়ারে করে মাওয়া প্রান্তে সমাবেশস্থলে হাজির হন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এ সময় তিনি দুটি দাবি জানান।
সাংবাদিকদের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ’আজকে আমাদের স্বপ্ন, আমাদের যোগসূত্র, প্রধানমন্ত্রীর সাহসী উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি, সে জন্য আমরা আনন্দিত। তবে উনার কাছে আমার একটিই আবেদন— এই পদ্মা সেতু দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের যেন টোল ফ্রি থাকে, আর বিদেশিদের জন্য ডবল ট্যাক্সের ব্যবস্থা থাকে। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেশের গণতন্ত্রের দিকে নজর দিতে হবে।’
বিএনপির সাতজনের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, 'এ বিষয়ে আমি বলতে পারব না। আমাকে দাওয়াত দিয়েছে সে জন্য আমি খুশি। আমি মনে করি খালেদা জিয়াকে আজকে দাওয়াত দেওয়া উচিত ছিল। তাকে জামিন দিয়ে..., এখানে তার আসা উচিত ছিল। ভালো কাজের প্রশংসা করি, করতে হবে।’
এ সময় জাফরুল্লাহর বলেন, আমি চাই তিনি যেন একটা খোলা জিপে করে পদ্মা সেতু পার হন। সঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ তিনজন মুক্তিযোদ্ধা থাকবেন।
পদ্মা সেতু স্বচোখে দেখতে পেরে আপ্লুত ও গর্বিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আনন্দিত তিনি।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বললেন, ‘অত্যন্ত আনন্দঘন অনুভূতি এটা। একাত্তরেও মুক্তিযুদ্ধ করতে পেরেছি। আজকে পদ্মা সেতু নিজের চোখে দেখতে পেরেছি। এটি আমার জীবনের বড় একটি আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়ে গেছে। আমি জাতির উল্লেখযোগ্য ঘটনারগুলোর মধ্যে একটাতে অনুপস্থিত ছিলাম, সেটি ৭ মার্চের ভাষণ। এ ছাড়া জাতির সব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় আমি ছিলাম।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আজকে জাতির এই সাহসী উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে আরও মহানুভব হতে অনুরোধ করছি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দিকে নজর দিতে হবে। উনি অনেক ভালো কাজ করেছেন। এখন উনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।’