গত ৩০ মে করোনায় সবশেষ একজনের মৃত্যুর টানা ২০ দিন পর গতকাল সোমবার ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর দৈনিক মৃত্যুর তালিকায় মঙ্গলবারও আরও একজন যুক্ত হলেন।
২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৭৪ জন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারির (৮৯৭ শনাক্ত হয়েছিল) পর এটিই দৈনিক শনাক্তের দিক থেকে সর্বোচ্চ। দেশে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪ জনে। চার মাসেরও বেশি সময় অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারির পর দৈনিক শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে ১১ শতাংশ।
গতকাল সোমবার ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর পাশাপাশি সংক্রমিত হয়েছিলেন ৮৭৩ জন। শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এর আগের দিন গত রোববার এ হার ছিল ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
একদিনে শনাক্ত ৮৭৪ রোগীর মধ্যে ৭৯০ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। মারা যাওয়া ব্যক্তির (পুরুষ) বয়স সত্তরোর্ধ্ব, তিনিও ঢাকা বিভাগের।
আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হওয়া রোগী বেড়ে দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৫ হাজার ৯৮৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৮৯৩টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে পরীক্ষা করা হয় ৯ হাজার ৯২৭টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১১ দশমিক ০৩ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দাপট শিথিল হয়ে আসায় গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশে সংক্রমণের হারও কমতে থাকে। এরই ধারাবাহিকায় গত ২৬ মার্চ দৈনিক শনাক্ত একশোর নিচে এবং ৫ মে তা আরও কমে ৪ জনে নামে। তবে গত ২২ মে’র পর থেকে সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী রূপ নেয়।
গত ১২ জুন দৈনিক শনাক্ত ১০০ ছাড়ানোর মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় তা আরও বেড়ে ৮০০ ছাড়িয়ে যায়।