মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন চায় রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন চায় রোহিঙ্গারা
মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা। রোববার (১৯ জুন) সকাল ৮টা থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নির্ধারিত স্থানে সমাবেশ শুরু হয়। ‘ব্যাক টু হোম’ শ্লোগানে সমাবেশে রোহিঙ্গারা অংশগ্রহণ করে।

রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলেই ডাকা, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে আরাকানের গ্রামে গ্রামে প্রত্যাবাসন , প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত প্রত্যেক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশ, এনজিও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা, মিয়ানমার কর্তৃক বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইন অত্যাবশকীয়ভাবে বাতিল করা, সম্পত্তি ফেরত, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারসহ ইত্যাদি দাবি উত্থাপন করা হয় সমাবেশে।

এছাড়াও প্রত্যাবাসনের পরে আইডিপি ক্যাম্পের পরিবর্তে নিজস্ব গ্রামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ এবং রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার দাবি জানায় রোহিঙ্গারা



সমাবেশে রোহিঙ্গারা জানায়, মানবিক বিবেচনায় অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানের জন্য তারা বাংলাদেশ সরকারের নিকট কৃতজ্ঞ। এছাড়াও খাদ্য,আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সহায়তা প্রদানের জন্য তারা জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা সমূহের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। কিন্তু বাংলাদেশ তাদের নিজের দেশ নয়। তাই রোহিঙ্গাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য স্বদেশে ফিরে যাওয়া এবং রাখাইনে নিজ ভূমিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা।২০১৭-২০১৮ সালে জাতিসংঘ ও চীনের সহায়তায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বেশকিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় কিন্তু এরপর পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও প্রত্যাবাসন বিষয়ক উল্লেখযোগ্য ও কার্যকর কোন অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। এমনকি বিশ্ব সম্প্রদায়ও বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরনার্থী রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কথা ভুলতে বসেছে। এমন পরিস্থিতিতে ২০ জুন আন্তর্জাতিক শরনার্থী দিবসকে সামনে রেখে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরনার্থী প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে তাদের দাবি তুলে ধরে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গারা বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্রহীন গোষ্ঠী। ২০১৭ সালে দেশ থেকে বিতাড়নের পাঁচ বছর হয়েছে কিন্তু আর কত দিন তারা উদ্বাস্তু হয়ে থাকবে এই প্রশ্ন তুলেন অনেক রোহিঙ্গা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জঘন্য নৃশংসতায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকেরা নির্যাতিত হয়ে জোরপূর্বক বাংলাদেশে বিতাড়িত হয়েছিল যা ইতিহাসে রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে ভয়াবহ দেশত্যাগ হিসেবে বিবেচিত। রাখাইন রাজ্যে ১৯৭৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক বৈষম্য, নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা এবং গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার মত ভয়াবহতার সম্মুখীন হয়েছে। শুধুমাত্র ২০১৭ সালে ১১ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয় এবং বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু