এদিকে কুসিক নির্বাচন ঘিরে সবার দৃষ্টি এখন সেখানে। যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে আবার কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনে বড় কোনো নির্বাচন এটি। তাই এই নির্বাচনে কোনো ধরনের ফাঁক রাখতে চাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন।
এবার নির্বাচনে পাঁচজন মেয়রপ্রার্থী রয়েছেন। তবে মূল লড়াইটা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এবং নিজাম উদ্দিন কায়সারে মধ্যে। আর সাক্কু গত দুই মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাকি দুজন প্রথমবারের মতো লড়াই করছেন। ফলে কুমিল্লাবাসীর মুখে এখন প্রশ্ন- সাক্কুর হ্যাটট্রিক নাকি নতুন মুখের অভিষেক।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব কিছুই করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা ও পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো শঙ্কার কারণ নেই।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। দায়িত্বে কেউ গাফিলতি ও অনিয়ম করলে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
তিনি জানান, কুসিক নির্বাচনে তিন হাজার ৬০৮ জন পুলিশ সদস্য মাঠে থাকবেন। সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে থাকবেন যথাক্রমে ১৫ ও ১৬ জন করে পুলিশ। এছাড়া আনসারসহ গ্রাম পুলিশের সদস্যরাও থাকবেন।
আর পুলিশের মোবাইল ফোর্স থাকবে ২৭টি, প্রতি ওয়ার্ডে একটি। স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়টি। রিজার্ভ ফোর্স দুটি। আর বিজিবি মোতায়েন করা হবে ১২ প্লাটুন, র্যাবের ২৭টি টিম থাকবে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাচনী ম্যাজিস্ট্রেট ও নয়জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।