চূড়ান্ত বাজেটে পুঁজিবাজার উন্নয়নে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ৫ দাবি

চূড়ান্ত বাজেটে পুঁজিবাজার উন্নয়নে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ৫ দাবি
পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ পুঁজিবাজার সার্বিক উন্নয়নে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের চূড়ান্ত বাজেটে পাঁচটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রীর দফতরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত বেশ কয়েকটি দাবি সংবলিত চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।

পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা বৃদ্ধিতে চূড়ান্ত বাজেট বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সুপারিশের মধ্যে রয়েছে - অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো, লভ্যাংশের উপর ট্যাক্স, লভ্যাংশ প্রদান, ও অর্থের যোগান।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে মহাধ্বসের ফলে বহু বিনিয়োগকারী চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে ৩৪ জন বিনিয়োগকারী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন। পুঁজিবাজারের পতনের দায় তৎকালীন সরকারের ওপর পড়েছিল। এরপর থেকে পুঁজিবাজার আর পূর্ণাঙ্গ স্থায়ী স্থিতিশীলতা পায়নি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বর্তমান পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ বর্তমানে এগিয়ে থাকলেও পুঁজিবাজারের মন্দাভাবের কারণে তা বার বার ম্লান হচ্ছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের অধিক শেয়ার আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে ওই কোম্পানির জন্য করহার ২২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী প্রস্তাবনা। পাশাপাশি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীল করতে চূড়ান্ত বাজেটে আমাদের সুপারিশগুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাই।

ঐক্য পরিষদের সুপারিশগুলো হলো, অপ্রদর্শিত অর্থ ১০ শতাংশ কর দেওয়া সাপেক্ষে বিনা শর্তে শুধু পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এতে পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে, পুঁজিবাজার গতিশীল হবে, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হবে, দেশীয় শিল্পের বিকাশ হবে। এতে সরকারও প্রচুর রাজস্ব পাবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২.৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু, আমরা তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ১৫ শতাংশ করার জোর সুপারিশ করছি। এতে অনেক ভালো প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফা বাড়বে এবং লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা বাড়বে। এর ফলে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে।

লভ্যাংশের ওপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে। কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ ঘোষণার আগে সরকারকে অগ্রীম যে ট্যাক্স দিয়ে থাকে, সেটাকে চূড়ান্ত ট্যাক্স হিসেবে গণ্য করতে হবে। ভালো লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় তখন বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। এতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ বাড়বে এবং পুঁজিবাজারের অস্থিরতা কমবে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি ভালো মুনাফা করা সত্বেও উপযুক্ত লভ্যাংশ প্রদানে গড়িমসি করে। কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারহোল্ডারদের দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে দাবি জানাচ্ছি। উপযুক্ত পরিমাণ লভ্যাংশ পাওয়ার প্রত্যাশায় পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বাড়বে এবং পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হবে।

বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এতে পুঁজিবাজারের অর্থের যোগান বাড়বে। এছাড়া, পুঁজিবাজারের দুঃসময়ে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দিতে সক্ষম হবে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত