মঙ্গলবার (১৪ জুন) বাংলাদেশ ইনস্টিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) কর্তৃক আয়োজিত দেশের পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষন কর্মশালায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শেখ শামসুদ্দিন বলেন, জিডিপিতে নারীদের অবদান বাড়ছে। তবে তাদের অবদান অনেকাংশ হিসাবের বাইরে থেকে যাচ্ছে। ২০১০ সালে ধসের পর শেয়ারবাজার ছেড়ে চলে যান বিপুল সংখ্যক নারী। সাত লাখ থেকে কমে নারীর সংখ্যা চলে আসে পাঁচ লাখের নিচে। এরপর বাজারে নারীর অংশগ্রহণ সেভাবে লক্ষ্য করা যায়নি।
তবে সম্প্রতি শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকার পাশাপাশি প্রাইমারী মার্কেটে কিছু ভালো মানের কোম্পানির আইপিও থাকায় আবারও বাজারে যুক্ত হচ্ছে নারীরা। তিনি নারীদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে প্রশিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানান। যাতে নিজেরা এবং পুঁজিবাজার উভয় উপকৃত হতে পারে।
ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বিও সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে বিষয়টি জানা যায়, সম্প্রতি প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শতাধিক নারী পুঁজিবাজারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।
তথ্যমতে, গত কয়েক বছরের মধ্যে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (পাঁচ কার্যদিবস) সবচেয়ে বেশি নারী বিও অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এই সময়ে নারীদের জন্য মোট বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে দুই হাজার ৫৬৭টি, প্রতিদিন যার পরিমাণ গড়ে ৫১৩টি। ৩০ সেপ্টেম্বর পুঁজিবাজারে নারীদের মোট বিও অ্যাকাউন্ট ছিল পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭০৬টি। ৭ অক্টোবর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার ২৭৩টিতে।