এতে দেখা গেছে, গত মে মাসে ভারতের শোধনাগারগুলো দৈনিক ৮ লাখ ১৯ হাজার ব্যারেল রাশিয়ান তেল পেয়েছে। এটি ভারতে রাশিয়ার তেল রপ্তানির হিসেবে একক কোনও মাসে সর্বোচ্চ। গত এপ্রিলে ভারতে রাশিয়ার দৈনিক তেল রপ্তানির এই পরিমাণ ছিল প্রায় ২৭ হাজার ৭০০ ব্যারেল।
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে অনেক তেল আমদানিকারক মস্কোর সাথে বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে অন্যান্য গ্রেডের তুলনায় রাশিয়ার ক্রুড তেল রেকর্ড ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে।
পরিবহন ব্যয় বেশি হওয়ায় ভারতীয় শোধনাগারগুলো রাশিয়ার তেল খুব কমই ক্রয় করতো। কিন্তু মস্কোর অত্যধিক ছাড়ের কারণে অপরিশোধিত তেল ক্রয়ের সুযোগ লুফে নেয় ভারত।
গত মে মাসে ভারতের মোট আমদানিকৃত তেলের প্রায় ১৬ দশমিক ৫ শতাংশই ছিল রাশিয়ান গ্রেডের। এর ফলে কমনওয়েলথভূক্ত দেশগুলো থেকে ভারতের তেল আমদানি বেড়ে প্রায় ২০ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছায়। একই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ভারতের তেল আমদানি কমে ৫০ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়ায়।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ভারতের অপরিশোধিত আফ্রিকান তেল আমদানির শেয়ার গত এপ্রিলে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ থাকলেও গত মাসে তা সাড়ে ১১ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
ভারতের তেল আমদানি এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি।