আল আমিন কেমিক্যাল অধিগ্রহন করলো সাকিবের কোম্পানি

আল আমিন কেমিক্যাল অধিগ্রহন করলো সাকিবের কোম্পানি
পুঁজিবাজারের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে তালিকাভুক্ত আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ৭.২ শতাংশ শেয়ার কিনবে বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ৪৮.১৭৫ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করার অনুমতি পেয়েছে সাকিবের দুইটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ আরো পাঁচ জন ব্যক্তি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সোমবার (৩০ মে) এ অনুমোদন দেয়।

জানা যায়, সাকিব আল হাসানের দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মোনার্ক মার্ট (জাভেদ এ মতিন প্রতিনিধিত্বকারী) ২.৪০ শতাংশ এবং মোনার্ক এক্সপ্রেস ৪.৮০ শতাংশ আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার কিনবেন। এ ছাড়া আমিনুল ইসলাম সিকদার এবং মো. খায়রুল বাশার (ইশাল কমিউনিকেশনের প্রতিনিধিত্বকারী) ১৪.৪ শতাংশ, এএফএম রফিকুজ্জামান ১০ শতাংশ, মাশুক আলম ৬ শতাংশ,  মো. হুমায়ুন কবির (লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধিত্বকারী) ২.৪০ শতাংশ এবং মুন্সী শফিউদ্দিন ৮.১৭৫ শতাংশ আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার কিনবেন।

এদিকে, কোম্পানিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ আশিক ১৮.৪০ শতাংশ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আতিকা ১৫.৯৭৫ শতাংশ ও তাজাক্কা তানজিম ১৩.৮০ শতাংশ শেয়ার ওই দুই প্রতিষ্ঠান ও পাঁচ ব্যক্তির কাছে বিক্রি করবেন।

কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাকিবের দুইটি প্রতিষ্ঠান ও পাঁচ ব্যক্তির কাছে এতো বড় পরিমাণের শেয়ার হস্তান্তরের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে কোম্পানির সমস্ত শেয়ার স্থানান্তর কার্যকর করার পর অবিলম্বে সকল শেয়ারকে ইলেকট্রনিক শেয়ারে রূপান্তরিত করতে হবে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোক্তা/পরিচালকদের মোট ২৪ লাখ ৮ হাজার ৭৫০ টি শেয়ার, যা কোম্পানির মোট শেয়ারের ৪৮.১৮ শতাংশ চিঠিতে উল্লেখিত ক্রেতা ও কোম্পানির কাছে উল্লেখিত শর্তাবলী মেনে চলার সাপেক্ষে বিক্রি বা স্থানান্তর করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু শর্ত থাকে যে, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা/পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে মোট শেয়ারের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করবেন। কোম্পানি নতুন শেয়ারহোল্ডারদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করবে, যারা কোম্পানিতে নূন্যতম ২ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার ধারণ করবেন। পরিচালনা পর্ষদের পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোম্পানিটির আরো মূলধন বাড়ানোর অনুমতি নেই। প্রস্তাবিত শেয়ারের ক্রেতারা কোম্পানির উৎপাদন শুরু করবে। আর অধিগ্রহণ শেষ হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রমসহ সমস্ত মুলতুবি বিষয়গুলোকে নিয়মিত করবে। প্রস্তাবিত ক্রেতা/শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোম্পানিতে নতুন তহবিল বিনিয়োগ করবে। পৃথক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং তাদের বিপরীতে মূলধন প্রদান কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে হবে। আর কোম্পানির সমস্ত শেয়ার স্থানান্তর কার্যকর করার পর অবিলম্বে সকল শেয়ারকে ইলেকট্রনিক শেয়ারে রূপান্তরিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ বর্তমানে পুঁজিবাজারের ওটিসি একটি তালিকাভুক্ত রয়েছে। তবে সম্প্রতি বিএসইসি ওটিসি মার্কেট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। তাই আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে কোম্পানিটিকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। কোম্পানিটি ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫০ লাখ। এরমধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২.৫৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৭.৪৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ১৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত