ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশকে অভিভাবকের মত আগলে রেখেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। প্রবল চাপের মুখে লিটন দাসের সাথে মহাকাব্যিক পার্টনারশিপ গড়ার পর মুশফিক জাগিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরির আশা।
৫ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুরু করা বাংলাদেশ ৩০০ রানের আগেই হারিয়ে ফেলে লিটন দাসকে। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন ২৪৬ বল মোকাবেলা করে ১৬টি চার ও ১টি ছক্কার সহায়তায় করেন ১৪১ রান। তার বিদায়ে ভাঙে মুশফিক-লিটনের ২৭২ রানের পার্টনারশিপ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে এটাই বাংলাদেশের সেরা জুটি। এছাড়া ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এবং ২৫ রানের নিচে ৫ উইকেট হারানো দলের পক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর যিনি ব্যাট-প্যাড নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন, সেই মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ক্রিজে নামেন দলীয় ২৯৬ রানে। তবে কোনো রান করার আগেই নিজের তৃতীয় বলে কাসুন রাজিথা বলকে খোঁচা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। দীর্ঘ সময় পর টেস্টে ফেরা মোসাদ্দেক বিদায় নিলে ২৯৬ রানেই সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর মুশফিকে মধ্যে দেখা যায় দ্রুত রান তোলার তাড়না, যা স্বস্তি দিয়েছে স্বাগতিক সমর্থকদের। তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাইজুল ইসলাম। অষ্টম উইকেটে দুজনের পার্টনারশিপ অর্ধশততে পৌঁছে যেত আর একটি রান এলেই। বিদায়ের আগে ৩৭ বলে ১৫ রান করেন তাইজুল। আসিথা ফার্নান্দোর বাউন্সারে বেসামাল হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন।
লাঞ্চের আগে আসিথা অনেকটা একই কায়দায় শিকার করেন খালেদ আহমেদের উইকেটও। নিঃসঙ্গ শেরপা মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরির আশা তাই ক্রমশ মিলিয়ে যায়। তবে এবাদত হোসেন চৌধুরী রয়েসয়ে খেলে মোকাবেলা করে ফেলেছেন ১৬ বল। কোনো রান করতে না পারলেও এবাদতের ক্যারিয়ারে এটাই এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি বল মোকাবেলার রেকর্ড।
৩০ মিনিট দেরিতে পাওয়া লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে ১১৩ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ৩৬১ রান জড়ো করেছে বাংলাদেশ। ৩৪০ বল মোকাবেলায় ১৭১ রান করে অপরাজিত আছেন ২১টি চার হাঁকানো মুশফিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৩৬০/৯ (১১৩ ওভার)
মুশফিক ১৭১*, লিটন ১৪১, তাইজুল ১৫
রাজিথা ৬২/৫, আসিথা ৯৩/৪