সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে আনতে ডিএসইকে চিঠি

সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে আনতে ডিএসইকে চিঠি
এসএমই প্লাটফর্মের মতো আলাদা বোর্ড গঠন করে দেশের সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে আনার চেষ্টা করছে সমবায় অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যানের সঙ্গে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস আলোচনা করেছেন। সম্প্রতি ডিএসইকে এ সংক্রান্ত চিঠিও দিয়েছে অধিদপ্তর। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। এ লক্ষ্যে ওই মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

সূত্র মতে, স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর জন্য গঠিত এসএমই বোর্ডের মতো শেয়ারবাজারে সমবায় সমিতিগুলোর জন্য ‘কো-অপারেটিভ বোর্ড’ চালু করার সুপারিশ করা হবে। এই বোর্ড চালু করা সম্ভব হলে নিবন্ধিত সক্ষম সমবায় সমিতিগুলো শেয়ারবাজারে এসে পুঁজি সংগ্রহের সুযোগ পাবে।

সমবায় অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫টি সমবায় সমিতির কার্যকরী মূলধন ১৫ হাজার ২৯৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রাথমিক সমবায় সমিতিগুলোর কার্যকরী মূলধন ১২ হাজার ৮৪০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিগুলোর কর্যকরী মূলধন এক হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা। আর জাতীয় সমবায় সমিতিগুলোর কার্যকরী মূলধন ৯১৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

শেয়ারবাজারে সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে সমবায় অধিদপ্তরের যুক্তি হচ্ছে, ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠান স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হলেও সমবায় মালিকানার কোনো প্রতিষ্ঠান ডিএসই এবং সিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়নি। দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়নের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তাদের কো-অপারেটিভ বিজনেসকে প্রসারিত করেছে। দেশের সমবায় সমিতিগুলো শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের সুযোগ পেলে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান অর্থসংবাদকে বলেন, সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস কয়েক মাস আগে বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করেছেন। আমি উনাকে লিখিতভাবে প্রস্তাব দিতে বলেছিলাম, শুনেছি ডিএসইতে তিনি লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন, তবে আমি এখনো দেখিনি।

প্রধান শেয়ারবাজারের চেয়ারম্যান আরও বলেন, অন্যান্য দেশে সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজারে আছে কি না তা দেখতে হবে। সমবায় অধিদপ্তর যে প্রস্তাব দিয়েছে তা ডিএসইর বোর্ড পর্যালোচনা করবে। ডিএসই অ্যাপ্রোভ করলে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনে যাবে। যদি এসব প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হয় তবে নতুন কোন বোর্ড গঠন করতে হবে কিনা তাও দেখতে হবে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার বিষয়টি দীর্ঘ একটি প্রক্রিয়া।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা