এ উপলক্ষ্যে আজ রাজধানীর দা ওয়েস্টিন ঢাকা হোটেলে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলালিংক এই ঋণের অর্থ তাদের মূলধনী খরচ মেটাতে, স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ এবং ৪-জি নেটওয়ার্কের আধুনিকীকরণে ব্যয় করবে।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী এরিক আস অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে বলেন, “আমারা এই যে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করতে যাচ্ছি তা বাংলাদেশের প্রতি আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকারেরই আরো একটি প্রমাণ। আমাদের ভবিষ্যৎ উন্নতিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক গুলোকে সাথে পেয়ে আমরা আনন্দিত। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ দুই অংকের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনকে আরো ত্বরান্বিত এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল উন্নয়নে আমাদেরকে আরো বেশি সুসজ্জিত করবে”।
ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার এ প্রসঙ্গে বলেন, “দেশে ডিজিটাল সমাধানের উন্নয়নে অর্থায়ন এবং সহযোগিতায় ইবিএল অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নির্দিষ্ট সময় সিন্ডিকেট চুক্তিটি সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতার জন্য আমি অংশগ্রহণকারী সকল ঋণ দাতাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি”।
তিনি আরো বলেন, “এই সিন্ডিকেট ঋণ বাংলালিংকের ক্রেডিট প্রাপ্তির যোগ্যতা এবং আর্থিক কমিউনিটিকে প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যমান সুনামকেই প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমি আশাকরি ভবিষ্যতে বাংলালিংকের লাভজনক প্রবৃদ্ধিতে এই ঋণচুক্তিটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে”।
অন্যান্য অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো হলো- ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, দা সিটি ব্যাংক লিমিটেড, কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলোন পিএলসি, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, হাবিব ব্যাংক লিমিটেড, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড, মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড।