বঙ্গবন্ধুর সমবায় দর্শন নিয়ে সমবায় অধিদপ্তরের ‘বঙ্গবন্ধু ও সমবায় : একটি ঐতিহ্য অনুসন্ধান’

বঙ্গবন্ধুর সমবায় দর্শন নিয়ে সমবায় অধিদপ্তরের ‘বঙ্গবন্ধু ও সমবায় : একটি ঐতিহ্য অনুসন্ধান’
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গণমুখী সমবায় দর্শন এখনো প্রাসঙ্গিক। তার সেই দর্শনে ছিল কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি, সম্পদের সুষম বণ্টন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে বদলে দেওয়ার লক্ষ্য।

সমবায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনা তুলে ধরতে সমবায় অধিদপ্তরের সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধু ও সমবায়: একটি ঐতিহ্য অনুসন্ধান’ গবেষণা গ্রন্থে এসব বিষয় উঠে এসেছে। মুজিববর্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে সমবায় অধিদপ্তর।

বইটির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সমবায় আন্দোলনের অনেক দুর্লভ ঐতিহাসিক দলিলাদি ও তথ্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়মনস্ক চিন্তক ও প্রয়োগকারী ছিলেন বলেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এতে সংযোজন করা হয়েছে।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণে বঙ্গবন্ধু জনগণের উদ্দেশে যে ৩৫টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার একটিতে উঠে আসে সমবায় বিষয়ক প্রতিষ্ঠানসমূহ চালু রাখার কথা। সে নির্দেশনাটি ছিল, ‘পূর্ব পাকিস্তান সমবায় ব্যাংক, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও তার অঙ্গ সংস্থাগুলো থানা সমবায় সমিতি এবং অন্যান্য সমবায় সংস্থা থেকে কৃষি ঋণ দেওয়া অব্যাহত থাকবে।’

এ তথ্য নিশ্চিত করতে বইটিতে দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় ১৫ মার্চ ১৯৭১ সালের সংখ্যা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: দ্বিতীয় খণ্ডের ৭৩৯ থেকে ৭৪৬নং পৃষ্ঠায় থাকা তথ্যসূত্র যোগ করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু নিজেও পাটগাতী ইউনিয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড (পাটগাতী ইউসিএমপিস) এর একজন সদস্য ছিলেন- এমন তথ্য ইতিহাস ঘেঁটে এ বইটিতে তুলে ধরা হয়।

বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রাম ও টিকে থাকা এবং গ্রামকে স্বয়ম্ভর করার জন্য যুব প্রশিক্ষণের কথাও উঠে এসেছে। গ্রাম পঞ্চায়েত কাঠামোর আর্থ-সামাজিক স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে ও রিসোর্স নোটের ‘কার্যক্রম’ ও ‘অর্থব্যবস্থা’ অনুচ্ছেদে ‘সমবায়’ এর বিষয়টি তুলে তরা হয়েছে বইয়ে।

কার্যক্রমের প্রথম দফাতেই উল্লেখ করা হয়, ‘গ্রামের আত্মনির্ভরশীলতা বাড়িয়ে তোলার সব কাজে, বিশেষত দুর্ভিক্ষ এবং অরাজকতা দমনের কাজে, আবালবৃদ্ধবনিতা গ্রামবাসীর সব সম্ভাব্য পরিশ্রম এবং সমবায় যতদূর সম্ভব বাড়াতে হবে।’

সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক সম্পাদিত এ গবেষণা গ্রন্থের উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।

পৃষ্ঠপোষক ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের এনডিসি ও সচিব মো. মশিউর রহমান, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক (প্রশাসন, মাসউ ও ফাইন্যান্স) মো. আহসান কবীর।

বইটির গবেষণা পরিচালক ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর। এছাড়া গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্মনিবন্ধক মো. জিল্লুর রহমান ও সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের।

বঙ্গবন্ধুর সমবায় দর্শন এবং সমবায় ঐতিহ্য সংক্রান্ত অনেক তথ্য, দলিল ও চিত্র এ গ্রন্থে পাওয়া যাবে। দুর্লভ এসব তথ্য, চিত্র ও দলিলাদি ‘বঙ্গবন্ধু ও সমবায়: একটি ঐতিহ্য অনুসন্ধান’ গ্রন্থটি পাঠকের কাছে বিশেষ গুরুত্ব রাখে। গতিয়া প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন থেকে মুদ্রিত বইটির প্রচ্ছদ করেছেন অরূপ মান্দী। মূল্য ৫০০ টাকা।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়