এমন পরিস্থিতিতে নওগাঁয় চালের মোকামে প্রতিকেজি চালের দাম আগে চেয়ে ৪-৫ টাকা কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ইতোমধ্যে নতুন ধানের মৌসুমও শুরু হয়েছে।
নওগাঁর চালের মোকামের মেসার্স ফারিহা রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী শেখ ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমাদের জেলায় প্রতি বছর ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন হয়। জেলার প্রায় চার লাখ মেট্রিক টন খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বাকীটা রাজধানীসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। করোনার আগে দেশের বিভিন্ন জেলায় সাধারণত প্রতিদিন ৭০-৮০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হতো। বিগত ১৫-২০ দিন পূর্বে বেশ কয়েকদিন মোটা চালের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১৫০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত মোকামে চালের চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রতিদিন ২৫/৩০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, বর্তমান বাজারে ব্রি-২৮ চালের দাম ৫০ কেজির বস্তা ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। স্বর্ণা-৫ চালের দাম ১ হাজার ৮৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা। যা পূর্বে ছিলো ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ১৫০ টাকা। মিনিকেট নতুন চালের দাম ২ হাজার ১৫০ টাকা। যা পূর্বে ছিল ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। নাজিরশাইল চালের দাম ২ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা।
নওগাঁ ধান্-চাউল আড়ৎদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, “চলমান লকডাউন এবং করোনা আতঙ্কে শ্রমিক সঙ্কটের কারণে অনেক চালকল এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। এরপরেও যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হচ্ছে মোকামে পর্যাপ্ত চাহিদা না থাকায় চালের দাম কমতে শুরু করেছে। চলতি বোরো মৌসুমে মাঠে পুরোদমে ধানকাটা শুরু হয়েছে। সাধারণত বছরের এই মৌসুমে ধান ও চালের দাম কমে যায়। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে চালকলগুলো পুরোদমে চালু হবে।”