লাইফস্টাইল
হাত-পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরা কঠিন যে ৩ রোগের লক্ষণ

হাত-পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। কখনো কয়েক সেকেন্ড আবার কখনো কয়েক মিনিট পর্যন্ত এ সমস্যা হতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে টেম্পোরারি প্যারেসথেশিয়া বলা হয়। ইংরেজিতে ‘পিনস অ্যান্ড নিডলস’ নামেও পরিচিত ঝিঁঝিঁ ধরার সমস্যাটি।
দীর্ঘক্ষণ হাত বা পায়ের উপর চাপ পড়লে কিংবা একই ভঙ্গিমায় অনেক্ষণ শুয়ে বা বসে থাকার কারণে যে অসাড় অনুভূতি তৈরি হয় তাকেই ঝিঁঝিঁ ধরা বলা হয়। এ সমস্যাকে সাধারণ ভাবলেও কারো কারো ক্ষেত্রে তা কঠিন রোগের কারণ হতে পারে।
ঝিঁঝিঁ ধরার অনুভূতিটি তিন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন- প্রথম ধাপে ৩-৪ মিনিটের জন্য কিছুটা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়। তখন মনে হয় ত্বকের ভেতর অসংখ্য পিঁপড়া যেন হেঁটে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়কে কমপ্রেশন টিঙ্গলিং বলা হয়।
দ্বিতীয় ধাপে আবার ঝিঁঝিঁ ধরার সময়কাল একটু বেশিক্ষণ থাকে, অর্থাৎ ৫-১০ মিনিট পর্যন্ত তা চলমান থাকে। এ ধাপে হাতে বা পায়ের সংশ্লিষ্ট অংশটি অসাড় হয়ে আসে।
শেষ ধাপটি শুরু হয় চাপ অপসারণ করার পর। একেই ইংরেজিতে পিনস অ্যান্ড নিডলস বলা হয়। এ সময়ে মনে হয় যেন অসংখ্য সুঁচ দিয়ে একসঙ্গে ওই অংশে খোঁচা দেওয়া হচ্ছে। তবে সাধারণত কিছুক্ষণের মধ্যেই অসাড়তা ও খোঁচা লাগার অনূভুতি চলে যায়।

কেন ঝিঁঝিঁ ধরে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানবদেহের সর্বত্র অসংখ্য স্নায়ু আছে। সেগুলো মস্তিষ্ক ও দেহের অন্যান্য অংশের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করে।
বসা বা শোয়ার সময় কোনো স্নায়ুতে চাপ পড়লেই শরীরের ওই অংশ থেকে তথ্য মস্তিষ্কে ঠিকভাবে পৌঁছাতে পারে না।
পাশাপাশি দেহের ওই অংশে রক্ত চলাচলকারী শিরার উপরও প্রভাব পড়ায় রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে ঝিঁঝিঁ ধরতে পারে।
যে ৩ রোগের লক্ষণ
সাধারণত ঝিঁঝিঁ ধরার পর ভঙ্গি বদলানো হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই সমস্যাটি সেরে যায়। তবে এ সমস্যা যদি ক্রমাগত হতেই থাকে তাহলে ডাক্তার দেখানো জরুরি।
যদি বারবার এ সমস্যা দেখা দেয় ও দীর্ঘ সময় ধরে চলে তাহলে সমস্যাটি গুরুতর হতে পারে। যেমন মেরুদণ্ড ও মস্তিষ্কের সমস্যা থেকে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এমনকি ডায়াবেটিসের কারণে ঝিঁঝিঁ ধরার সমস্যা বারবার হতে পারে। তাই এ সমস্যাকে সাধারণ ভেবে হেলাফেলা করা উচিত নয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লাইফস্টাইল
শীতে ত্বক ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়

সারা বছরই ত্বকের যত্ন নিতে হয়। তবে শীতকালের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। কারণ শীতের সময়ে আবহাওয়ার প্রভাব আমাদের ত্বকে অনেক বেশি পড়ে। এসময় আবহাওয়া অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় আমাদের ত্বকেও। এতে ত্বক ও চুল শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। তাই শীতে ত্বক ভালো রাখার ঘরোয়া উপায় জেনে রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না
শীতকালেও ঠান্ডা পানিতে গোসল করার অভ্যাস থাকে অনেকের। এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। কারণ শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। সেইসঙ্গে ত্বকে দেখা দিতে পারে ব়্যাশও। তাই শীতের সময়ে হালকা গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাস করুন। এই সময়ে হালকা গরম পানিতে গোসল করলে ত্বকের তাপমাত্রা ঠিক থাকে ও ত্বক ভালো থাকে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
শীতে প্রতিদিন দুইবেলা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। কারণ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ফলে তা ত্বকে সঠিক হাইড্রেশন দেয় ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে খাঁটি নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েলও ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এতেও শীতের দিনে ত্বক ভালো থাকবে।
হিউমিডিফাইয়ার ব্যবহার
শীতের সময়ে হিউমিডিফাইয়ার ব্যবহার করতে পারেন। এর থেকে গরম বাস্প বের হয় যা ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। যে কারণে আপনার ত্বকও ভালো থাকবে। তাই শীতের দিনগুলোতে আপনি এর সাহায্য নিতেই পারেন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার
শীতের সময়েও নিয়মিত ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে তবেই বের হবেন। কারণ এটি শীতে সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেটের থেকে বাঁচতে আপনাকে সাহায্য করবে। ত্বকে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে রোদের তাপে ত্বক পুড়ে যায় না এবং ত্বকের রং ও ঠিক থাকে।

গ্লিসারিনযুক্ত সাবান ব্যবহার
শীতের সময়ে এমন কোনো সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন যা আপনার ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। কারণ শীতের সময়ে আমাদের ত্বক এমনিতেই শুষ্ক হয়ে যায়। এরপর এ ধরনের সাবার ব্যবহার করলে তা ত্বককে আরও ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই শীতে এমন সাবান ব্যবহার করুন যাতে গ্লিসারিন রয়েছে। এতে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখা সহজ হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
চোখের জ্বালাপোড়া ও ব্যথা কমানোর ৫ উপায়

চোখে শুষ্কভাব থাকার কারণে হতে পারে জ্বারাপেড়া। এছাড়া অনেকেই কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মনিটরে চোখ রেখে কাজ করেন অনেকেই। ফলে চোখে জ্বালাপোড়া ও ব্যথায় ভুগতে হয় প্রায়শই। চোখের অস্বস্তিতে বাড়ে মাথাব্যথাও। নিয়মিত এ সমস্যায় ভুগলে, তা হতে পারে দুশ্চিন্তার কারণ।
চোখের সমস্যার শুধু আপনি নন, অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। অ্যালার্জির কারণেও অনেকের এই সমস্যা হয়। চোখ জ্বালা করে ও লাল হয়ে যায়। তাই চোখের এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে আপনি কয়েকটি ঘরোয়া সমাধানের উপর অবশ্যই ভরসা করতে পারেন।
কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই এ সমস্যায় আর ভুগতে হবে না। জেনে নিন ড্রাই আইজ থেকে মুক্তি পেতে কী কী সাবধানতা মেনে চলবেন?
১. চোখ পরিষ্কার রাখুন: নিয়মিত চোখ পরিষ্কার রাখার অভ্যাস গড়ুন। সামান্য পরিমাণে গরম বা ঠান্ডা পানিতে তুলো ভিজিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে পারেন। এভাবে চোখের পাতা, আইল্যাশ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। দিনে যতবার পারবেন, চোখ ভিজিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।
২. ওমেগা: মাছের তেলে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। নিয়মিত মাছের তেল খেতে না পারলে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন। এই উপাদানটি চোখের জন্য খুবই ভালো। চোখের মেইবোমিয়ান গ্ল্যান্ড ভালো রাখে। চোখের পাতার একদম কোণায় এই গ্ল্যান্ড থাকে।

৩. আইড্রপ ব্যবহার করুন: সারাদিন কম্পিউটারে কাজ করার কারণে চোখে ভীষণ চাপ পড়ে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আইড্রপ ব্যবহার করুন। এই ধরনের আইড্রপগুলো চোখ পরিষ্কার রাখে ও চোখের শুষ্কতা দূর করে। ড্রপ ব্যবহারের পর অবশ্যই বিশ্রাম নেবেন এবং চোখ ম্যাসাজ করবেন।
৪. পানি খেতে হবে: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে শরীরের একাধিক সমস্যার সমাধান ঘটে। ঠিক একইভাবে চোখও ভালো রাখে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খেলে চোখের শুষ্কতা বেড়ে যায়। চোখের দৃষ্টিও কমে যায়।
৫. ভিটামিন: সূর্য রশ্মি থেকে পাওয়া ভিটামিন ডি অনেকের শরীরেই লাগে না। এর ফলে শরীরে ভিটামিন ডি শূন্যতা হয়ে যায়। যা বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রয়োজনে ভিটামিন ডি এর সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। এই ভিটামিনের অভাবে ড্রাই আইজের সমস্য়া শুরু হয়।
সূত্র: হেলথলাইন
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী খাবেন যেসব খাবার

রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী আমাদের খাবারের তালিকা একেকজনের একেক রকম হয়ে থাকে। কারণ, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী বেশকিছু খাবার হজম করতে সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে অনেকেই খাসি, গরু বা মুরগির মাংস হজম করতে পারেন না।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রত্যেকের রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী খাদ্যাভাস নির্ধারণ না করলেই বিপদ। অর্থাৎ, আপনার খাদ্যাভ্যাস নির্ভর করা উচিত আপনার রক্তের গ্রুপের ওপরও।
মানুষের শরীরের চার ধরনের রক্তের গ্রুপ হয়। ও, এ, বি এবং এবি। এই চার রক্তের গ্রুপের মানুষ কে কী ধরনের খাবার খেতে পারে তা সরাসরি নির্ভর করে রক্তের গ্রুপের ওপর। তাই চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন রক্তের গ্রুপের মানুষ কেমন খাবার খাবেন—
‘এ’ রক্তের গ্রুপ
এই গ্রুপের মানুষদের রোগ প্রতিরোধ খুবই সংবেদনশীল। তাই এদের নিজেদের ডায়েটের দিকে অনেক বেশি নজর দিতে হয়। মূলত নিরামিষ খাবারই এই গ্রুপের মানুষের জন্য উপযোগী। এই রক্তের গ্রুপের মানুষরা শরীর সহজে মাংস হজম করতে পারে না। তাই এদের খাসি, গরু বা মুরগির মাংস কম খাওয়াই ভালো। এ ছাড়া সামুদ্রিক খাওয়ার ও বিভিন্ন ধরনের ডাল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
‘বি’ রক্তের গ্রুপ
এই গ্রুপের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ ভালো। তাই খাসি, মুরগি বা আমিষ খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ বাধানিষেধ মানতে হয় না। তবে সবুজ শাকসবজি, ফল, মাছ খাদ্য তালিকায় থাকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

‘এবি’ এবং ‘ও’ রক্তের গ্রুপ
এই দুই গ্রুপের মানুষের ক্ষেত্রেও ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষ বাধা-নিষেধ না থাকলেও খাসি-গরু ও মুরগি খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা লাগাম টানা ভালো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ভদ্রভাবে ‘না’ বলার ৫ উপায়

পারস্পরিক শ্রদ্ধা রক্ষা করে না’ বলতে পারাটা একটি শিল্প। অনেকে আছেন, যাঁরা কিছুতেই অনুরোধ উপেক্ষা করতে বা ‘না’ বলতে পারেন না। এর জন্য আপনাকে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখার দৃঢ়তা এবং কৌশলের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। আপনি যদি এমন ব্যক্তি হতে চান যিনি অভদ্র না হয়েও না বলতে পারেন, তাহলে পারস্পরিক শ্রদ্ধা রক্ষা করে অনুরোধ বা আমন্ত্রণ সদয়ভাবে প্রত্যাখ্যান করার কিছু কার্যকর উপায় নিচে দেওয়া হলো –
১. প্রশংসা করুন
কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আপনার প্রতিক্রিয়া শুরু করুন। তার অনুরোধের প্রশংসা করুন। কেউ অনুরোধ করলে তা গ্রহণ করুন এবং আপনার সম্পর্কে চিন্তা করার জন্য বা কাজের জন্য আপনাকে বিবেচনা করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। এভাবে বলতে পারেন, ‘সুযোগটি নিয়ে আমার কাছে আসার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি সত্যিই আমার ক্ষমতার প্রতি আপনার আস্থার প্রশংসা করি।’
২. সত্যিটাই বলুন
অনুরোধটি পূরণ করতে আপনার অক্ষমতার জন্য সংক্ষিপ্ত এবং সত্যি ব্যাখ্যা দিন। মানুষ সাধারণত স্বচ্ছতার প্রশংসা করে। কঠোর সময়সূচী, অন্য কোনো প্রতিশ্রুতি বা ব্যক্তিগত অগ্রাধিকারের কারণে হোক না কেন, আন্তরিকতার সাথে কারণটি তাকে জানান। এভাবে বলতে পারেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আমার অন্য জায়গায় ব্যস্ততা আছে যে কারণে এটি আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।’

না বলার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভাষা ব্যবহার করুন। আপনি যা করতে পারবেন না তার ওপর ফোকাস করার পরিবর্তে, আপনি কী করতে পারবেন বিকল্প কিছুর পরামর্শ দিতে পারেন। এটি সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আপনার সহযোগিতার মনোভাব প্রকাশ করবে। আপনি তাকে বলতে পারেন, ‘যদিও এই মুহূর্তে আমি এটি করতে পারছি না, তবে ভবিষ্যতে কোনো কাজে সাহায্য করতে পারলে খুশি হবো।’
৪. দুঃখ প্রকাশ করুন
আপনার ফিরিয়ে দেওয়ার কারণে তার মন খারাপ হতে পারে সেটি বোঝার চেষ্টা করুন এবং আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করুন। তার পরিস্থিতির জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করুন। তাকে বলতে পারেন, ‘আমি দুঃখিত যে আমি এই মুহূর্তে আপনাকে সাহায্য করতে পারছি না। আমি এর গুরুত্ব বুঝতে পারি এবং আপনি যেন ভালো কোনো সমাধান খুঁজে পান, সেই প্রত্যাশা করি।’
৫. ধন্যবাদ দিন
একটি ইতিবাচক এবং দূরদর্শী প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি শেষ করুন। সম্পর্ক বা সহযোগিতায় আপনার ওপর আস্থা রাখার কারণে তাকে ধন্যবাদ দিন। তাকে বলতে পারেন, ‘যদিও আমি এই সময়ে অংশগ্রহণ করতে পারছি না, ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ। আমাকে বিবেচনা করার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া রুখতে যেসব খাবার খাবেন

অনেকের ক্ষেত্রেই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি কমার লক্ষণ দেখা যায়। কেবল তা-ই নয়, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষমতাও কমে যেতে শুরু করে। ফলে ডিমেনশিয়া বা আলঝেইমার্সের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়তে থাকে। তাই মস্তিষ্কের মনে রাখার ক্ষমতা যাতে কমে না যায় সেদিকে নজর রাখা জরুরি।
কিন্তু কিভাবে এটা আটকানো যায়, এমনটা ভাবছেন যারা তারা জেনে নিন, কিছু খাবার নিয়মিত খেলে স্মৃতিলোপ পাওয়ার সমস্যাকে আটকানো কিন্তু সম্ভব। হালে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, কয়েকটি খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এবং মস্তিষ্কের অন্য রোগের সমস্যা রুখতে সাহায্য করে। জেনে নিন সেসব খাবার সম্পর্কে-
নারকেল তেল
এই তেলে বিদ্যমান কিছু উপাদান নিউরনের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত নানাবিধ ক্ষতিকারক উপাদান যাতে মস্তিষ্কের ভেতরে কোনো ক্ষতি সাধন করতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে।
ব্রকোলি
এ সবজিতে সালফারাফেন নামক একটি উপাদানের প্রাচুর্য রয়েছে। তাই এ সবজিটি খাওয়ামাত্র শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে ব্রেন সেলের কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

ডিম
এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় কোলিন এবং উপকারী কোলেস্টেরল, যা নিউরনের ক্ষমতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সার্বিকভাবে ব্রেনের ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এখানেই শেষ নয়, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ডিম খেলে দেহে বিশেষ একধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা ব্রেন সেলের যাতে কোনোভাবে ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে।
কোলিন এবং উপকারী কোলেস্টেরল, নিউরনের ক্ষমতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সার্বিকভাবে ব্রেনের ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে
আখরোট
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার, যা নানাভাবে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে কাজে লাগে। সেই সঙ্গে দেহে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও বাড়ায়। ফলে সব দিক থেকে মস্তিষ্কের উপকার হয়।
হলুদ
এই প্রাকৃতিক উপাদানটি ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে দারুণ কাজে আসে। হলুদে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকর উপাদান একদিকে যেমন মস্তিষ্কের ভেতরে প্রদাহ কমায়, অন্যদিকে বুদ্ধির বিকাশেও সাহায্য করে।
পালং শাক
এই শাকে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন কে, ফলেট ও লুটেইন ব্রেনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কাজে আসে। ফলে নিয়মিত এই শাকটি খেলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
টমেটো
এতে উপস্থিত ক্যারোটিনয়েড, লাইরোপেন ও বিটা-ক্যারোটিন ব্রেনে উপস্থিত টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে মস্তিষ্কের কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তির উন্নতি হয়, বুদ্ধি ও মনোযোগ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না।
কফি
ব্রেনের ক্ষমতা বাড়াতে এই পানীয়টি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। কফিতে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর মস্তিষ্কের ক্ষমতাকে এতটাই বাড়িয়ে তোলে যে আলঝেইমার্সের মতো রোগ ধারেকাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। সেই সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা কমে, শর্ট টার্ম মেমোরি জোরদার হয়ে ওঠে এবং পার্কিনসনের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না।
মাছ
বেশি তেল রয়েছে এমন মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড নামে একটি উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দারুণ কাজে আসে। আসলে এই উপাদনটি ব্রেন সেলের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মস্তিষ্কের যে অংশটা স্মৃতিশক্তির আধার, সেই অংশের ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
অলিভ অয়েল
এই তেলটিতে রয়েছে পলিফেনল নামে একটি উপাদান, যা ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে দারুণ কাজে আসে। পলিফেনল নামক উপাদানটি নার্ভ সেলের কর্মক্ষমতা বাড়য়ে দেয়। ফলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে।