মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে প্রতি মুহূর্তে। এরাই আগামীর বাংলাদেশ। আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতে এ শহরকে, দেশকে ও বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। এ শিশুদের সঠিক পথ দেখাতে পারলেই আমরা সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো। অতএব এ সোনামনিদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে হবে। শিশুরা কোথায় খেলবে, কোথায় ঘুরবে, কোন পরিবেশে বেড়ে ওঠবে সেটি সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের। শিশুদের আনন্দমাখা শৈশব উপহার দিতে হবে। তাদের সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে তারা আমাদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন করবে না।’
তিনি আরও বলেন ‘প্রকৃত মানুষ শুধু নিজেকে নিয়ে না ভেবে সবাইকে নিয়ে ভাবে। প্রকৃত মানুষ শুধু আমার চিন্তা না করে আমাদের চিন্তা করে। আমাদের পাশের মানুষের কথা ভাবতে হবে, প্রতিবেশীর কথা ভাবতে হবে। প্রতিবেশীর বিপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। আমি মনে করি, প্রকৃত মানুষ কখনো অন্যের সম্পত্তি দখল করতে পারে না, খাল ভরাট করতে পারে না, পার্ক ও মাঠ দখল করতে পারে না।’
আসন্ন ঈদে মানুষ যেন নিরাপদে বাড়িতে যেতে পারে। তাই ফিটনেসবিহীন বাস যেন না চলতে পারে সেজন্য ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশনা দেন।
এসময় তিনি ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) এবং ডিএমপির (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপদ ঈদ যাত্রা নিশ্চিতে কাজ করতে।
মেয়র বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন বাস চলাচলের মাধ্যমে কোনোভাবেই ঈদের খুশিকে নষ্ট করা যাবে না। আমি বাস মালিকদের আহ্বান করছি আপনারা ফিটনেসবিহীন কোনো বাস চালাবেন না। যারা ঈদের খুশিতে বাড়িতে যাত্রা করবে তারা যেন লাশ না হয়ে যায়।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা প্রমুখ।