অন্যদিকে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫১ রান করলেও মুশফিকের আউট হওয়ার ধরন ছিল দৃষ্টিকটু। ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছার পর হুট করেই রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন দলের অভিজ্ঞতম ব্যাটার। তার অ্যাপ্রোচ দেখে মনে হচ্ছিল, হয়তো টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ।
মুশফিকের রিভার্স সুইপের সরাসরি সমালোচনা না করলেও, তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দায়িত্বজ্ঞানহীন এই কাণ্ড মেনে নিতে পারেননি টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। মুশফিকের মতো ব্যাটারের কাছ থেকে এমন কাজ পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেন সুজন।
তবে দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক এ বিষয়ে কোনো ধরনের নেতিবাচক কথা বলতেই রাজি নন। উল্টো গণমাধ্যমে মুশফিকের এমন চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজের সমালোচনা চলতে থাকায় সেটির বিরোধিতাই করেছেন মুমিনুল। দলের অভিজ্ঞ ব্যাটারের এই রিভার্স সুইপকে প্রশ্নবিদ্ধ না করার অনুরোধ টাইগার অধিনায়কের।
ম্যাচ ও সিরিজ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেছেন, ‘আমি আগেই বলেছি, এই শট খেলে উনি (মুশফিক) সফল। আপনিও দেখেছেন, আমিও দেখেছি। আমি আপনাদের অনুরোধ করি, আপনারা অনুরোধ মানলে বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘সত্যি বলছি, আপনারা জিনিসটা নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা করতে থাকলে, উনাকে অনেক বেশি বলতে থাকলে উনার জন্য খারাপ, দলের জন্য খারাপ, দেশের জন্য খারাপ। উনি শটটা খেলেন। এই শট খেলেই সফল হন।’
মুশফিকের রিভার্স সুইপে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘এই শট তো উনি খেলতেই পারেন। উনার গেম প্ল্যানে যদি থাকে এটা খেলবেই। এমন না যে এটা খেলে রান করেনি বা খুব অসফল। উনি এটা করে রান করে। আমার মনে হয় উনাকে সাপোর্ট করা উচিৎ। আমি উনাকে সাপোর্ট করি এটা নিয়ে।’
তার শেষ কথা, ‘মুশফিক ভাইয়ের আউটটা আমার কাছে মনে হয়, আপনি দেখুন- উনার ওয়ানডে, টেস্ট, টি-টোয়েন্টি; যেসব খেলাই হয়, উনি কিন্তু... আমি জানি না আপনারা হয়তো এটা নিয়ে খুব বেশি কথা বলছেন। আপনারা বলতেই পারেন। রিভার্স সুইপ তো ক্রিকেটেরই একটা শট। তাই না? ক্রিকেটের বাইরের কোনো শট তো না?’