গতকাল বিকালে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের শূন্যরেখায় (নোম্যান্স ল্যান্ডে) সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বেনাপোল বন্দরের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল উদ্দীন শিমুল ও সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।
অন্যদিকে ভারতের পক্ষে ছিলেন পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী ও আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস।
বাংলাদেশী ব্যবসায়ী নেতারা আলোচনায় বলেন, বর্তমান করোনার থাবায় দিশেহারা বাংলাদেশীরা। এমন অবস্থায় অতিপ্রয়োজনীয় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোল বন্দরে ওষুধ শিল্পের যেসব কাঁচামাল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও গার্মেন্টস সামগ্রী আছে সেগুলো প্রবেশের ব্যবস্থা যেন পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ নেয়। না হলে একদিকে এসব পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হয়ে ব্যবসায়ীরা পথে বসবেন, অন্যদিকে জরুরি এসব পণ্য সংকটে দেশের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে ভারতীয় ট্রাকচালকদের সব ধরনের নিরাপত্তা ও দ্রুত তারা যেন দেশে ফিরতে পারেন, তার সব ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী নেতারা।
বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের দাবির বিপরীতে ভারতীয় ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তাই বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে গিয়ে আপাতত পণ্য খালাস তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
তবে এ অবস্থায় বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট শূন্যরেখায় স্বল্প পরিসরে ট্রাক থেকে জরুরি পণ্যগুলো খালাস করা যেতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন সব পণ্য বেনাপোল বন্দরে পাঠানো হবে।