রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ

রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপের কিছু দেশের সঙ্গে রপ্তানি বাণিজ্যে চলছে স্থবিরতা। যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেল, জাহাজ ভাড়া বাড়ছে দফায় দফায়। শিল্পের উৎপাদন ব্যয়ও বাড়ছে। এত বাধার পরও দেশের রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। মার্চ মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ডলার আয় হয়েছে। বর্তমান বিনিময় হার (৮৬ টাকা ২০ পয়সা) হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৪ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি।

সোমবার (৪ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, একক মাসের হিসাবে মার্চ মাসের এই আয় দেশের রপ্তানির ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে সবচেয়ে বেশি আয় এসেছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। ওই মাসে ৪৯০ কোটি ৭৭ লাখ ডলার আয় করেন রপ্তানিকারকরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসেছিল চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে। সে মাসে ৪৮৫ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার আয় করেন রপ্তানিকারকরা।

মার্চ মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৫৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। গত বছরের মার্চ মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩০৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার আয় হয়েছিল।

অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের (জুলাই-মার্চ) এই ৯ মাসে ৩৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা। হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তৈরি পোশাকসহ প্রায় সব খাতেই রপ্তানি আয় বেড়েছে। তবে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে ৭ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ, এই ৯ মাসে ৩ হাজার ১৪২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। পোশাক রপ্তানির এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

এছাড়া জুলাই-মার্চ সময়ে ৯৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য, ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের ওষুধ, ৪৩ কোটি ৫৯ লাখ ডলারের হিমায়িত মাছ, ১১৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের হোম টেক্সটাইল, ৮৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ৮৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কৃষিতে ২৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ, হিমায়িত খাদ্যে ১৮ দশমিক ৫৩ ও চামড়াজাত পণ্যে ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি আয়ের মোট লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে আয়ের লক্ষ্য ধরা আছে ৩৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কমে গেছে চাহিদা
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
২০২৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ